বিয়ের ৩৬ দিনে মাথায় প্রবাসীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে

 প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন   |   জেলার খবর

বিয়ের ৩৬ দিনে মাথায় প্রবাসীকে  হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে
প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে মোবাইলে কথা বলতে নিষেধ করায় বিয়ের ৩৬ দিনের মাথায় প্রবাসী স্বামীকে গোপন অঙ্গে আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে। কুমিল্লা লালমাই উপজেলার ভুলইন দক্ষিণের মোস্তফাপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এঘটনায় বুধবার (৯ জুলাই) নিহতের পিতা বাদী হয়ে কুমিল্লার ৫নং আমলী আদালতে পুত্রবধু, শ্যালক ও শ্বশুরসহ ৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা (সিআর নং ৪৯১/২৫) দায়ের করেছেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, নিহতের শ্যালক রাসেল (২৩), শ্বশুর তাজুল ইসলাম (৬৫), স্ত্রীর নিকটাত্মীয় বরুড়া উপজেলার বনকরা গ্রামের সফিকুল ইসলাম (৬০) ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের আশ্রাফপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে মমিনুল ইসলাম (৪৫)। মামলার বিবরণে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর গ্রামের সোহেল চৌধুরীর ছোট ছেলে সৌদি প্রবাসী সাকিব চৌধুরী গত ২৭ মার্চ বিবাহ করার উদ্দেশ্যে দেশে আসেন। গত ২৯ মে লাকসাম উপজেলার নৈরপাড় এলাকার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের মেয়ে আয়েশা আক্তার (২৪) কে প্রবাসী সাকিব চৌধুরী পারিবারিক ভাবে ৭লক্ষ টাকা মোহরানায় বিয়ে করে। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই স্বামীর উপহারের স্মার্ট ফোনে পুরাতন সিম নম্বর ব্যবহার করে অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে নিয়মিত কথা বলতে শুরু করেন নববধু। এই নিয়ে নব দম্পতির মধ্যে অবিশ্বাস ও অশান্তি শুরু হয়। গত ৩ জুলাই রাত ১১টায় তারা নিজেদের ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত অনুমান ৪টায় নববধু আয়েশার চিৎকার শুনে পরিবার ও বাড়ির লোকজন গিয়ে দেখেন, সাকিব চৌধুরীর গলায় ওড়না পেছানো। স্ত্রীর কোলে স্বামীর মাথা রাখা। পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ মনে করে সাকিবকে কুমিল্লা মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে নিলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা অনুমান এক ঘন্টা আগেই তার মৃত্যু হয়ে বলে জানান। নিহতের পিতা সোহেল চৌধুরী বলেন, প্রাক্তন প্রেমিকের সাথে কথা বলতে নিষেধ করায় আমার ছেলেকে হত্যা করে হার্ট এ্যাটাকের নাটক করেছে পুত্রবধু। তাদের পরিবারের সদস্যরাও ছেলেকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন। আমি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছি। ময়নাতদন্ত হলে মৃত্যুর সঠিক কারন বের হবে। আমি আয়েশার ফাঁসি চাই। লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। দ্রুততম সময়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে।

জেলার খবর এর আরও খবর: