জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ
প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ০১:২২ পূর্বাহ্ন | শিক্ষা
জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ। বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ প্রতিষ্ঠানটির কলেজ বিল্ডিংয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ১৬তম ব্যাচের ক্লাস শুরু হলো। নতুন এ ব্যাচে দেশি-বিদেশি ১৪৭ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান ড. আনোয়ার হোসেন খান এমপি। সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাসিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মডার্ণ হেলথ্ গ্রুপ অব কোম্পানিজের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) আশরাফ আব্দুল্লাহ্ ইউসুফ ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফজলুর রহমান।
আরও বক্তব্য রাখেন, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. এখলাসুর রহমান, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. সৈয়দ তানুজিলুল হক ও বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরদার।
এছাড়া, শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা বিষয়ে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. হাবিবুজ্জামান চৌধুরী, মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. রাজিবুল আলম, অধ্যাপক ডা. গুলনেওয়াজ বেগম, অধ্যাপক ডা. সুলতানা রোকেয়া মান্নান, অধ্যাপক ডা. মৌসুমী সেন, অধ্যাপক ডা. নাজনিন মাহমুদ, অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুসুর আক্তার ও সহকারী অধ্যাপক ডা. সামিয়া হাসান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আনোয়ার হোসেন খান এমপি বলেন, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠানটি হাঁটি হাঁটি পা পা করে আজ ১৬ বছরে পদার্পণ করছে। ১৬তম ব্যাচের ভর্তি গ্রহণ করার মাধ্যমে মেডিকেল শিক্ষা জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে আজ আন্তর্জাতিক মানের মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করতে পেরেছি। এই প্রতিষ্ঠানে ৯১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ২৮৮ জন বিদেশি শিক্ষার্থী। অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে লেখাপড়া করে সঠিক সময়ে এমবিবিএস পাশ করে চিকিৎসক হিসেবে দেশে ও বিদেশে সেবা প্রদান করার জন্য সকল শিক্ষার্থীদের সাফল্য কামনা করেন তিনি।
মেজর জেনারেল (অব.) আশরাফ আবদুল্লাহ ইউসুফ বলেন, দেশের মেডিকেলগুলোর মধ্যে আনোয়ার খান মডার্ণ কলেজের সুনাম চারিদিকে। অনেক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এখান থেকে পোড়ানো শেষ করেছেন। তারা ভালো ডাক্তার হয়েছেন। সুনামের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছেন।
কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফজলুর রহমান বলেন, আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা করতে হবে। আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের ফ্যাকাল্টি অত্যন্ত আন্তরিক। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান। ফলে এখানের শিক্ষার্থীরা দেশ ও দেশের বাইরে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাসিমুল ইসলাম বলেন, আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজের ১৫৫ জন নিয়মিত শিক্ষকমণ্ডলী নিয়মিত পাঠদান করাচ্ছেন। দেশি ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের সমাজের প্রথম শ্রেণির চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। এখান থেকে প্রায় ৮৭২ এর অধিক শিক্ষার্থী এমবিবিএস পাশ করে চিকিৎসক হিসেবে দেশে, বিদেশে এবং সরকারি চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. এখলাছুর রহমান বলেন, পৃথিবীতে যতগুলো বিজ্ঞান আছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান। মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। মানুষকে হেয় করা যাবে না। মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ রাখতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. তানজিউর হক বলেন, নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। নিয়মতি ক্লাসে আসতে হবে। সময়ের পড়াশনো সময়ে করতে হবে। যদি তোমাদের নিজ দায়িত্ব নিজে নিতে পারো, তাহলে জীবন আলোকময় হবে। মনে রাখবে চিকিৎসা পেশা একটি মহান পেশা।
বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরদার বলেন, চিকিৎসা পেশা অন্যান্য পেশার মতো নয়। এখানে আগত নতুন শিক্ষার্থীরা সাদা এপ্রোন পড়ে এসেছেন। আজ থেকে আপনাদের ভেতরটা সাদা করতে হবে। এই ভেতরের সাদাটা হচ্ছে চিকিৎসা করতে হবে সাদা মন নিয়ে। এ জন্য পড়াশোনা করতে হবে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে। আমি প্রত্যাশা করব, আপনারা পড়াশোনা করে ভালো ডাক্তার হবেন। মানুষ ও দেশের সেবা করবেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. এখলাছুর রহমান বলেন, পৃথিবীতে যতগুলো বিজ্ঞান আছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে চিকিৎসা বিজ্ঞান। মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ। মানুষকে হেয় করা যাবে না। মানুষের প্রতি আমাদের দায়িত্ববোধ রাখতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. তানজিউর হক বলেন, নিজের দায়িত্ব নিজেকে নিতে হবে। নিয়মতি ক্লাসে আসতে হবে। সময়ের পড়াশনো সময়ে করতে হবে। যদি তোমাদের নিজ দায়িত্ব নিজে নিতে পারো, তাহলে জীবন আলোকময় হবে। মনে রাখবে চিকিৎসা পেশা একটি মহান পেশা।
বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান সরদার বলেন, চিকিৎসা পেশা অন্যান্য পেশার মতো নয়। এখানে আগত নতুন শিক্ষার্থীরা সাদা এপ্রোন পড়ে এসেছেন। আজ থেকে আপনাদের ভেতরটা সাদা করতে হবে। এই ভেতরের সাদাটা হচ্ছে চিকিৎসা করতে হবে সাদা মন নিয়ে। এ জন্য পড়াশোনা করতে হবে অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে। আমি প্রত্যাশা করব, আপনারা পড়াশোনা করে ভালো ডাক্তার হবেন। মানুষ ও দেশের সেবা করবেন।
অধ্যাপক ডা. গুলনেওয়াজ বেগম বলেন, প্রত্যেকদিন, প্রতি মুহূর্তে সিনসিয়ার থাকতে হবে, রেগুলেটরি থাকতে হবে। আজকে নয়, কাল করবো- এমন করা যাবে না।
কোরআন তেলওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর গিতা থেকে পাঠ করা হয়। নতুন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর আগে হলরুমে প্রবেশের সময় নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এপ্রোন ও ব্যাগ উপহার দেয়া হয়। নবাগত শিক্ষার্থীদের শপথ পাঠ করান কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. নাসিমুল ইসলাম।