সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৩, ০৯:১৪ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করলেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী


শামসুল কাদির মিছবাহ (সুনামগঞ্জ):

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেছেন, বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। হাওরে পানি শুকানোর বিষয়টি প্রাকৃতিক। অতীতে সব জায়গায় পানি নেমে যাওয়ার পর পিআইসি গঠন হয়েছে। যেখানে পানি ছিল সেখানে কাজ পরে শুরু হয়েছে। যেসব এলাকা কাজের উপযোগী ছিল সেখানে কাজ আগে করা হয়েছে। এবার কাজের অগ্রগতি অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভালো।

বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টায় সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালী ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, হাওরের স্থায়ী বাঁধ বা নদী খননের প্রকল্প খুব ব্যয় বহুল। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। আগামীতে হাওরের উন্নয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণসহ শীঘ্রই ১৯টি নদী খননের প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে বাঁধ নিয়ে এত কথা হবে না।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শামীমা আক্তার খানম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা প্রশাসক দিদারের আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, সামছু দোহা প্রমুখ।

পরে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার টাংনির হাওর, জলডোবা, জয়পুর উদগলবিলসহ বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষাবাঁধ পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, চলতি বছর ২০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩টি হাওরে ৭৪৫ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ তৈরির জন্য আজ পর্যন্ত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ১০০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে। এই বছর ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছেন জেলার ৪ লক্ষাধিক কৃষক।


সারাদেশ এর আরও খবর: