রাজশাহীর কিশোর গায়ক শিশির বাউল এর গান গুণীজনদের মুগ্ধ করেছে

 প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৬:০৮ অপরাহ্ন   |   সাক্ষাৎকার

রাজশাহীর কিশোর গায়ক শিশির বাউল এর গান গুণীজনদের মুগ্ধ করেছে

রাজশাহীর কিশোর গায়ক শিশির বাউলের  ‘মুর্শিদ ধন হে’ গান দিয়ে শুরু হয়েছিল জয়যাত্রা। ইতিমধ্যে সে গান দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ শুনেছেন, আপ্লুত হয়েছেন। এপার-ওপার বাংলা তো বটেই, প্রবাসী বাঙালিরাও এখন শিশিরের গানে মজেছেন। সমাজ-মাধ্যমে ‘মুর্শিদ ধন হে’ গানের ভিডিয়ো এখন ভাইরাল। অনেকেই জানতে চাইছেন, কে এই কিশোর গায়ক। সাদাকালোয় শিশিরের প্রথম সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছিল এ বছরের ১৭ অক্টোবর। তারপরে শিশিরের গান-যাত্রা আরও অনেক দূর এগিয়েছে। ঢাকায় গিয়ে সে গুণীজনদের মুগ্ধ করেছে। গান গেয়েছে বিটিভির মঞ্চেও। কিংসনিউজ২৪.কম এর সাথে আলাপচারিতায় বিভিন্ন বিষয়ে তার অভিপ্রায় তুলে ধরেছেন  কিশোর গায়ক শিশির বাউল




প্রশ্র: কোভিডের এই বছরটায় সবাই যখন প্রায় গৃহবন্দি, তুমি নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছ, ছড়িয়ে দিচ্ছো চারদিকে। রহস্যটা কী?


শিশির: আমার এখন যা বয়স তাতে নিজেকে গড়ার পাশাপাশি প্রকাশের একটা ইচ্ছে তো আসেই। বলতে পারেন, এ সব সেই ইচ্ছেরই বহিঃপ্রকাশ।


প্রশ্র: ঢাকায় গিয়ে কাদের গান শোনালে?


শিশির: অনেকেই আছেন। বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর দিদিভাই, বিখ্যাত চিত্রশিল্পী আহমেদ নওয়াজ আঙ্কেল, ক্লাসিকাল গানের বিখ্যাত শিল্পী ইউসুফ আহমেদ খান, জনপ্রিয় অভিনেতা মির সাব্বির ভাইয়া, চলচ্চিত্র অভিনেতা শহিদুল আলম সাচ্চু ভাইয়া, আলী রাজ আঙ্কেল, ড. এজাজ ভাইয়ার কথা।


প্রশ্র: তুমি তো লোকশিল্পী। ঢাকার বিখ্যাত লোকশিল্পীদের সংস্পর্শেও নিশ্চয় এসেছ, গানও শুনিয়েছ?


শিশির: জি। লালন গানের বিখ্যাত শিল্পী ফরিদা পারভিন আমার গান শুনে প্রচুর দোয়া করেছেন। এছাড়া বাংলার মাটির গানের আরও দুই বিখ্যাত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি ও কাঙালিনী সুফিয়া আমার গান শুনে খুশি হয়েছেন।


প্রশ্র: বিটিভিতে কীভাবে সুযোগ পেলে?


শিশির: একদিন আমার দোতারার গুরু শ্রদ্ধেয় অনুপম স্যরের সঙ্গে বিটিভি ভবনে গিয়ে বিটিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবু তৌহিদ স্যরকে গান শোনানোর সৌভাগ্য হয়। তিনিই আমাকে বিটিভিতে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন।


প্রশ্র: বেতার দিয়ে শুরু, এ বার টিভি। কেমন লাগছে?


শিশির: মানুষ আমাকে টিভিতে দেখবেন, আমার গান শুনবেন, এমন একটা স্বপ্ন কোন গায়কের না থাকে? আমারও ছিল। এ বার সে স্বপ্নটা কিছুটা হলেও পূরণ হল।


প্রশ্র: কিছুটা কেন?


শিশির: এটা তো পাকাপাকি নয়। আঠারো বছর বয়স না হলে তো টিভির স্থায়ী আর্টিস্ট হওয়া যায় না। সেজন্যই…


প্রশ্র: মানুষের ভালবাসা কেমন পাচ্ছো?


শিশির: অনেক। প্রচুর দোয়া, ভালবাসায় প্রতিনিয়ত মানুষ আমাকে ভরিয়ে দিচ্ছেন। আমার ভিডিয়োগুলোতে তাঁরা কমেন্ট করছেন। অনেকে আবার কুরিয়ারের মাধ্যমে উপহারও পাঠাচ্ছেন। এ সব আমাকে গানের প্রতি আরও বেশি নিবেদিত হতে প্রেরণা জোগাচ্ছে।


প্রশ্র: ভবিষ্যতে যদি হিন্দি গান গাওয়ার সুযোগ আসে, কী করবে?


শিশির: বাউল আমি গাইতে খুব ভালবাসি। কিন্তু সব ধরনের গানই আমি গাইতে চাই। খেয়াল করলে দেখবেন, শ্রদ্ধেয় রতন কাহার ও সুনীল মাহাতোর দু’টি জনপ্রিয় গান আমি কিছুদিন আগে গেয়েছি। যদিও সেদুটো লোকগানই। কিন্তু একটু চটুল অঙ্গের। হিন্দি গানও আমার কাছে অচ্ছুত নয়। গাওয়ার যদি সুযোগ আসে, অবশ্যই গাইব। তবে যাই গাই, তার কথা ও সুর আমার পছন্দ হওয়া চাই।


(সাদাকালো এ প্রকাশিত সাক্ষাতকার থেকে নেয়া হয়েছে।)

সাক্ষাৎকার এর আরও খবর: