বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে তার যোগ্য আসন পেতে যাচ্ছে : এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম
প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৯, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন | সাক্ষাৎকার
এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, আব্দুল মোনেম ইকোনোমিক জোন। এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম একজন সফল উদ্যোক্তা। খালেদ এম এইচ চৌধুরী এর সাথে একান্ত আলাপচারিতায় তুলে ধরেছেন দেশের অর্থনীতি নিয়ে তার সমসাময়িক চিন্তাচেতনা।
প্রশ্ন : আব্দুল মোনেম ইকনোমিক জোনের অগ্রগতি কতটুকু?
এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম : আব্দুল মোনেম ইকোনোমিক জোন দেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও অগ্রগামী ইকোনোমিক জোন। যেখানে দেশের অন্য ইকোনোমিক জোন এখনও প্রস্তুতি নিচ্ছে সেখানে আমরা প্রায় ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছি।
প্রশ্ন : একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সরকারের কাছে কি ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রত্যাশা করেন?
এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম : বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব সরকার। আমরা সহজ শর্তে ব্যাংক লোন চেয়েছি, মাননীয় অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল দায়িত্ব নেয়ার পর সহজ শর্তে ব্যাংক লোন প্রদান করার ব্যবস্থা করেছেন। সেই সাথে সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিয়েছেন। এছাড়াও ভ্যাট আইন ২০১৮ বাস্তবায়ন করেছেন। বিদ্যুত ও জ্বালানী সুবিধা আমরা যেমনটা চেয়েছি বর্তমান সরকার নতুন পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে শতভাগ সুবিধা ভোগ করছি। এবং এইখাতে সরকার ভর্তুকি দিচছে।
প্রশ্ন : দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাএায় অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহের ভূমিকা কি বলে মনে করেন?
এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম : বর্তমান সরকার সরকারি ও বেসরকারি ১০০টি ইকোনোমিক জোন প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ নিয়েছেন। এসব ইকোনোমিক জোনে বিশ্বের নামকরা ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠানসমূহ বিনিয়োগ করছে।
ইতিমধ্যে আমার জোনে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ মোটর সাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হোন্ডা বিনিয়োগ করেছে। বেজা'র হিসেব অনুযায়ী সরকারী তিনটি ইকোনোমিক জোনে প্রায় ১ হাজার ৬৩১ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে।
প্রশ্ন : নতুন প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করেন?
এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম :কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেই সরকার ইকোনোমিক জোনের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৯টি উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশ আগামীতে বিশ্ব অর্থনীতিতে তার যোগ্য আসন পেতে যাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক এই প্রবৃদ্ধির ধারাকে বজায় রাখতে হলে কর্মসংস্থানের কোন বিকল্প নেই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
এ এস এম মাইনুদ্দিন মোনেম : ধন্যবাদ আপনাকেও।