নিউ নরমাল লাইফে ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ ও ‘গ্রেট ডিপ্রেশন’
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০২:১৩ অপরাহ্ন | সাক্ষাৎকার
(এহছান খান পাঠান)
দারুণ গতিতে আবিষ্কারের পথে এগিয়ে যাওয়া করোনা এর ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পর তার বিতরণ নিয়েও দুশ্চিন্তার সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বব্যাপী। সরবরাহ চেইনের বিষয়টি সামনে এসেছে। কীভাবে যথেষ্ট পরিমাণ ডোজ প্রস্তুত করে তা সময়মতো বিতরণ করতে পারা যাবে এটাই হয়তো চ্যালেঞ্জ?
যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাপানসহ ধনী দেশগুলো প্রত্যাশিত সরবরাহের অর্ধেকের বেশি ডোজ কিনে নিয়েছে। সেক্ষেত্রে গরিব ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সহজলভ্য হতে আরো কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। তার মানে দাড়ায় ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ প্রকট হয়ে উঠবে।
‘গ্রেট ডিপ্রেশনের’ অভিজ্ঞতার কোনো ঘটনায় মানসিকভাবে ধাক্কা খাওয়ার ফলাফল ঘটনার ছয় মাস পর থেকে সামনে আসতে শুরু করে। মহামারীর একটা দীর্ঘমেয়াদি মানসিক, স্বাস্থ্যগত ও সামাজিক প্রভাব সামনের দিনগুলোতে দেখা যাবে। লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব পালন ও কোয়ারেন্টিনের মতো ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং একই সময়ে চাকরি হারানো, খাদ্য ঘাটতি, বিদ্যালয় বন্ধ, বন্ধুবান্ধব ও পরিবার থেকে শারীরিক বিচ্ছিন্নতা এবং চারপাশে ক্রমবর্ধমান মৃত্যুর সংখ্যার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাবগুলো এখন আরো বেশি হবে। বিশেষত যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন, চাকরিবিহীন অবস্থায় আছেন বা জাতিগত কুসংস্কার ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
বিভিন্ন দেশে জনগণের মধ্যে ভ্যাকসিন গ্রহণে অনাগ্রহীদের সংখ্যা বাড়ছে। অনেক মানুষ এরই মধ্যে ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছে। গত মে মাসের একটি জরিপে দেখা গিয়েছিল, ৭২ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ভ্যাকসিন গ্রহণে আগ্রহী। সেপ্টেম্বর মাসের জরিদেখা যাচ্ছে ৫১ শতাংশ আমেরিকান করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে আগ্রহী। এর মানে হলো মাত্র চার মাসের ব্যবধানে আরো ২১ শতাংশ মার্কিন ভ্যাকসিনের প্রতি অনাগ্রহী হয়েছে। ভ্যাকসিন আসার পরও অনেক মানুষ তা গ্রহণ না করার কারণে করোনা হারিয়ে যাবে না।
(এহছান খান পাঠান, সম্পাদক, কিংসনিউজ২৪.কম)