বিদেশী কূটনীতিকদের নিয়ে আংকারায় 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান' এর অনুষ্ঠান আয়োজন

 প্রকাশ: ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ১২:২৫ অপরাহ্ন   |   ভিন্ন খবর

বিদেশী কূটনীতিকদের নিয়ে আংকারায় 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান' এর অনুষ্ঠান আয়োজন


বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে ফ্যাসিস্ট শাসন বিলোপ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সমতার সংগ্রামে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় “জুলাই-আগস্ট বিপ্লব এর প্রথম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আজ ৮ আগস্ট ২০২৫, শুক্রবার বাংলাদেশ দূতাবাস, আঙ্কারায় এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এর আগে ০৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ ও তুরস্কে চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে দিবসটি পৃথক একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। 


আঙ্কারায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কূটনৈতিক প্রতিনিধি ও তাদের সহধর্মিণীদের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে তৈরিকৃত পোস্টার এবং তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত জনাব জিহাদ এরগিনেই। উক্ত প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতাঁর বীরত্বপূর্ণ প্রতিবাদ ও আত্মত্যাগের ইতিহাস তুলে ধরা হয়। 


রাষ্ট্রদূত মান্যবর এম আমানুল হক তাঁর স্বাগত বক্তব্যে উপস্থিত কূটনীতিক ও বিদেশি অতিথিদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং বলেন, তাঁদের উপস্থিতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি আন্তর্জাতিক সহানুভূতির প্রতীক। তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্ট বিপ্লব ২০২৪”-এ লাখো মানুষ অধিকার, ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং সমতার দাবিতে রাজপথে নেমেছিল এবং আমাদের সাহসী প্রজন্ম ফ্যাসিবাদ ও খুনীদের রুখে দিয়েছিল। এই বিপ্লব ছিল ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিজয় এবং মানবাধিকারের জন্য একটি ঐতিহাসিক জাগরণ। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এই অভ্যুত্থান শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, বরং বৈশ্বিক গণতান্ত্রিক চেতনার অনুপ্রেরণা। তিনি “জুলাই বিপ্লব”-এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাঁদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। সেজন্য বর্তমান সরকার নিরলস ভাবে দোষীদের বিচার নিশ্চিতে এবং দেশে গণতন্ত্র ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।  

উক্ত অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পটভূমি, প্রেক্ষাপট এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি লাভ করেন। 




ভিন্ন খবর এর আরও খবর: