প্রবাসীদের দিকে সরকার দৃষ্টি দাও !!!!

 প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪১ অপরাহ্ন   |   মতামত

প্রবাসীদের দিকে সরকার দৃষ্টি দাও !!!!


মোঃ আবু সায়েম:

বিদেশের মাটিতে বছরের পর বছর, মাসের পর মাস কঠোর পরিশ্রম করে অধ্যয়ন, অর্থ উপার্জন করে থাকে প্রবাসী বাংলাদেশী। আর প্রবাসীরা তাদের কষ্টের রেমিটেন্স বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন, কিন্তু সেই প্রবাসীদের মধ্যে কোন ভাই অথবা বোন যখন বিদেশের মাটিতে মারা যায় তখন সেই লাশ বিদেশের কোন না কোন হাসপাতালের মর্গে অবহেলায় পড়ে থাকে দিনের পর দিন ও মাসের পর মাস। যেন বিদেশে মরেও শান্তি নেই প্রবাসীদের !মরবার পর প্রবাসীর লাশ হয়ে উঠে ভোগান্তি অপর না আর পরিবারের কাছে উৎকণ্ঠা আহাজারি !! বিদেশের মাটিতে একজন প্রবাসীর লাশ দেশে ফেরত আনতে বিমান খরচের টাকা, প্রবাসী কর্মী হিসেবে সংশ্লিষ্ট দেশ ও দূতাবাসের কাগজপত্র ও এক গাদা নিয়ম কানুন শেষ করে লাশ দেশে আসতে পেরিয়ে যায় অনেক টা সময়। নিজ দেশের পরিবার পরিজনদের কাছে ততক্ষণে ওই মৃত্যু সংবাদ হয়তো অনুভূতি শূন্য একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। কোন কোন ক্ষেত্রে হয়তো প্রবাসীদের মৃত্যু সংবাদ ৭/৮ দিন এমনকি মাসখানেক পরে এসে পৌছায় দেশের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে। আবার কখনো কখনো বিদেশের মাটিতে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন হয়ে যায় হতভাগ্য প্রবাসীর । বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের অভিযোগ, তাদের জন্য জীবিত অবস্থায় কোন সরকারি সহযোগীতা পান তো না ই বরং বিদেশের মাটিতে মৃত্যু হলে সেই লাশটি কে ও পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে ও ভোগান্তিতে। প্রবাসীদের চাঁদার টাকা ও দেশে থেকে স্বজনদের পাঠানো টাকা না হলে সেসব লাশ গুলোর ভাগ্যে দেশের মাটি জোটে না ! আবার কখনো কখনো বাংলাদেশী প্রবাসী কমিউনিটির কাছ থেকে টাকা চাঁদা উঠিয়ে হতভাগ্য’দের লাশ দেশে পাঠানো হয়। অনেক সময় দেখে যায় রাস্তায় লাশ ফেলে রেখে স্থানীয় বিদেশী’দের কাছ থেকে চাঁদা তুলে দেশে পাঠানোর বিমান খরচ বহন করা হয়।সম্প্রতি চীনে একজন ছাত্র মারা গেলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত কিছুই করেনি তাই প্রবাসীরা অর্থ সংগ্রহ করছে। বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশী প্রবাসীদের অভিযোগ, মৃত্যুর পর লাশ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে দূতাবাসের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও তারা যথাসময়ে প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন না ! তাদের বক্তব্য এমনটি যে নিজেদের চেষ্টায় লাশ পাঠানোর জন্য উৎসাহিত করেন। তারা ।। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশে দূতাবাস খুলে প্রবাসীদের সহায়তার জন্যই আর তারা কি করছে ?


লেখক : মোঃ আবু সায়েম,

বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ও অটোমেশন বিভাগ, ,

ল্যানঝো ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, চীন


মতামত এর আরও খবর: