নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কথায় আশান্বিত বিএনপি
প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন | রাজনীতি
২০২৫ সালের শেষে অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই বক্তব্যে মোটামুটি আশান্বিত বিএনপি। তবে দলটির নেতারা বলছেন, সুনির্দিষ্ট করে যেদিন নির্বাচনী রোডম্যাপের ঘোষণা দেওয়া হবে, সেদিন জাতি আরও বেশি আশান্বিত হতে পরবে।
এ বিষয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সর্বপ্রথম প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ যে, তিনি নির্বাচনের ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এই ধরনের সম্ভাব্য তারিখের কথা এর আগেও বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা বিভিন্ন পর্যায়ে বলেছেন। তবে নির্দিষ্ট করে যেদিন নির্বাচনী রোডম্যাপের ঘোষণা দেওয়া হবে, সেদিন জাতি আরও বেশি আশান্বিত হতে পারবে। নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা হলে যারা নির্বাচন করবেন তাদের জন্য ভালো হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সম্ভাব্য যে তারিখ ঘোষণা করেছেন, তা একেবারে খারাপ না। তবে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে একটি নির্দিষ্ট তারিখ হওয়া জরুরি। নির্বাচনী রোডম্যাপও ঘোষণা হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার শেষে যত দ্রুত নির্বাচন হবে ততই জাতির জন্য মঙ্গল। অবশিষ্ট সংস্কার নির্বাচিত সরকার করলেই তা গ্রহণযোগ্য হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (ডিসেম্বর ১৬) সকালে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। ভাষণে নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সব প্রধান সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করার ব্যাপারে বারবার আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়ে এসেছি। তবে রাজনৈতিক ঐকমত্যের কারণে আমাদের যদি, আবার বলছি যদি, অল্প কিছু সংস্কার করে ভোটার তালিকা নির্ভুলভাবে তৈরি করার ভিত্তিতে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয় তাহলে ২০২৫ সালের শেষের দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠান হয়তো সম্ভব হবে। প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, আর যদি এর সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রত্যাশিত মাত্রার সংস্কার যোগ করি তাহলে অন্তত আরও ছয় মাস অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে। মোটাদাগে বলা যায়, ২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।