নির্বাচন ও হাসিনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানালো যুক্তরাষ্ট্র
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন | জাতীয়
গুমসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। স্থানীয় সময় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে বাংলাদেশে নির্বাচন এবং গুম কমিশনের তদন্ত রিপোর্টের প্রসঙ্গ উঠে আসলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল। প্রেস ব্রিফিংয়ে প্যাটেলকে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে, তারা সম্ভবত ২০২৫ সালের শেষের দিকে বা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে নির্বাচন করবে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী? উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলিকে স্বাগত জানাই, যা শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশি জনগণকে তাদের নিজস্ব সরকার-প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দেবে। নির্বাচনের সময় নির্ধারণের বিষয়ে আমরা ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাব এবং অবশ্যই এই পুরো প্রক্রিয়ায় আমরা তাদের আইন মেনে চলা এবং যেকোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক নীতিমালার প্রতি সম্মান জানানোর জন্য উৎসাহিত করব। আমরা সর্বদাই, বিশ্বের যেকোনো স্থানের মতো, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে সমর্থন জানাব।
এরপর প্যাটেলকে প্রশ্ন করা হয়, নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় বাংলাদেশ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে বাংলাদেশে গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের তাদের রিপোর্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র পূর্বে গুমের ঘটনায় জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এ বিষয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে কি?
উত্তরে প্যাটেল জানান, গত দুই দশকে বাংলাদেশে শত শত গুমের ঘটনা ঘটেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যা দেখে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। গুম একটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা ভুক্তভোগীদের উপর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা গায়েব হয়ে যাওয়ার মত যন্ত্রণাদায়ক নির্যাতন চাপিয়ে দেয়। এর ফলে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো অনিশ্চয়তায় ভোগে। আমরা এই অপরাধগুলো তদন্ত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানাই এবং ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ন্যায্য ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করে যাবো।