নুরুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

 প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪০ অপরাহ্ন   |   শোক ও মৃত্যুবার্ষিকী

নুরুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো দেশের শিল্পখাতের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, সাহসী উদ্যোক্তা, যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২০ সালের ১৩ জুলাই সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চিরবিদায় নেন এ কিংবদন্তি। ১৯৪৬ সালের ৩ মে ঢাকার দোহার উপজেলায় জন্মগ্রহণ করা নুরুল ইসলাম ছিলেন দেশের বেসরকারি শিল্পখাতের এক অকুতোভয় পথিকৃৎ। সাহস, সততা, মেধা, পরিশ্রম ও দূরদর্শিতায় গড়ে তোলেন ৪২টিরও বেশি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। তিনি শুধু একজন সফল ব্যবসায়ী নন, ছিলেন একজন সমাজদর্শী, দেশপ্রেমিক, অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবিচল কণ্ঠস্বর। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে তিনি দেশপ্রেমের বাস্তব উদাহরণ স্থাপন করেন। আর যুদ্ধ-পরবর্তী অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে তিনি নিজেকে নিবেদন করেন দেশের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য। ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার এই ভিশনের সূচনা ঘটে। ইলেকট্রনিক্স, বস্ত্র, রাসায়নিক, বেভারেজ, টয়লেট্রিজ, ওভেন গার্মেন্টস, ডেনিম, আবাসন, মোটরসাইকেল, মিডিয়া এবং এশিয়ার বৃহত্তম শপিং মল যমুনা ফিউচার পার্কসহ বহু খাতে সফলতার স্বর্ণশিখরে পৌঁছান তিনি। এ দিনটি উপলক্ষে যমুনা গ্রুপের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে আয়োজন করা হয় কুরআন খতম, বনানী কবরস্থানে জিয়ারত, দোয়া মাহফিল ও এতিমদের মধ্যে খাবার বিতরণের মতো নানা কর্মসূচি। কর্মসূচিতে অংশ নেন যমুনা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ, যারা কিংবদন্তি এই শিল্প উদ্যোক্তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। নুরুল ইসলামের অবদান এ দেশের শিল্প খাত ও অর্থনীতিতে আজও গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। তার রেখে যাওয়া দর্শন ও স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তারই পরিবারের সদস্যরা।

শোক ও মৃত্যুবার্ষিকী এর আরও খবর: