অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার রি-ফুয়েলিং গোডাউনের বিস্ফোরণ ঘটনায় শিশু নিহত " মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ জন
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৩, ০২:১৪ অপরাহ্ন | জনদুর্ভোগ
মোঃ শামীম আহমেদ (সাভার,ঢাকা):
আশুলিয়ার জামগড়া ফ্যান্টাসী কিংডম সংলগ্ন তেঁতুল তলা এলাকার অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার রি-ফুয়েলিং গোডাউনের আগুনের ঘটনায় অবশেষে অগ্নিদগ্ধ ছোট্ট শিশু টা ও আজ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন।
১৩ মে সকাল ৯ টায় অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডারের রি-ফুয়েলিং গোডাউনে সামনে খেলা ধুলা করছিলেন শিশু টি।তার বাবা মৃত শরীফুল ছিলেন অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডার রি-ফুয়েলিং কর্মী। প্রতিদিনের মত সেইদিন ও তারা বড় বোতল এর গ্যাস ছোট বোতলে ভরছিলেন তখন হঠাৎ বিস্ফোরণ হলে।যারা ভিতরে কাজ করছিলেন তারা দগ্ধ হয়ে দিকবিদিক ছুটতে থাকেন।এই ঘটনায় শিশু টা কিছু না বুঝতে পেরে সেই আগুনের গোডাউনের ভিতরে প্রবেশ করেন,তার বাবার কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে আর ততক্ষণে সে দগ্ধ হয়ে যায় সেই আগুনে। শিশুটির বাবা শরীফুল সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে শরীরের জামা কাপড় সব পুড়ে ছাই হয়ে উলঙ্গ হয়ে যায়।
এবং এক পর্যায় তার ছেলের কথা মনে পড়লে, সে বুঝতে পারে।তার আদরের কলিজার টুকরা সোনা মানিক টি আগুনের ভিতরে প্রবেশ করেছেন। তখন শরীফ উলঙ্গ অবস্থায় আগুনের ভিতরে আবারো প্রবেশ করেন। তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য,সেই দাউ দাউ আগুনের ভিতর থেকে ছেলে কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আর ততক্ষনে ছেলেটির শরীরের ৮০% আগুনে সবকিছু পুড়ে ছাই। শরীফুল শরীরের ৯৮% পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনা টা খুবই কষ্টদায়ক উক্ত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সর্বপ্রথম মৃত্যু বরণ করেন,শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়।(১) শরীফুল (২) নূর নবী (৩) বিল্লাল হোসেন (৪) শিশু সোহাগ। বিল্লাল অবৈধ গ্যাস সিলিন্ডারের রি-ফুয়েলিং এর মূল হোতা ছিলেন এবং এই গোডাউনের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।১৩ মে বিস্ফোরণ ঘটলে মালিক পক্ষ সেইদিন থেকে পালিয়ে রয়েছেন, এবং বিল্লাল কে মালিক বলে উল্লেখ করেছেন।আর ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছেন প্রকৃত আসামীরা। এলাকাবাসী আরো বলেন এই অবৈধ গ্যাস ব্যাবসার সাথে জরিত পাটনার,রতন,মোশারফ সহযোগিতায় বাড়ীর মালিক দুলাল সহ আরো ২ জন আছে।
এলাকাবাসীর দাবি অতি দ্রুত যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। যাদের কারণে অকালে ঝরে গেলো শিশু সহ ৪টি তাজাপ্রান। প্রশাসনের কাছে এলাকাবাসীর একটাই দাবি এই মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি দেওয়া হোক। আর আশুলিয়া থানা সহ যেখানে যেখানে এই রকম বাসা বাড়িতে গোডাউন আছে তাদের গোডাউন বন্ধ করে আইনের আওতায় আনা হোক।