বীমা দিবস উদযাপনে আইডিআরএ এর সংবাদ সম্মেলন
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৪:২৭ অপরাহ্ন | অর্থ ও বাণিজ্য

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে ১ মার্চ ২০২৩ বুধবার ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় বীমা দিবস উদযাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বছর বীমা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমার জীবন আমার সম্পদ, বীমা করলে থাকবে নিরাপদ’। এ উপলক্ষে জাতীয় বীমা দিবস- ২০২৩ উপলক্ষ্যে বীমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বেলা ৩টায় নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
জাতীয় বীমা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন, পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন। বীমা পেশায় তার যোগদানের দিনটিকে স্মরণে রাখতে বাংলাদেশ সরকার ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এবারের জাতীয় বীমা দিবস অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তিন বছর পর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পহেলা মার্চ উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাধারণত দুই ধরনের বীমা হয় বাংলাদেশে; জীবন বীমা ও সাধারণ বীমা। এরমধ্যে জীবন বীমা হচ্ছে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের জীবনের ঝুঁকি গ্রহণের মাধ্যমে তাদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ বীমায় একজন ব্যক্তি নিজের বা পরিবারের কোন সদস্যের জীবন বীমা করাতে পারেন। বীমাকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবার বা নির্ধারিত ব্যক্তিকে বীমাকৃত অর্থের পুরোটাই প্রদান করার বিধান আছে।
অন্যদিকে বাড়ি, গাড়িসহ নানা সম্পদের সুরক্ষায় করা হয় সাধারণ বীমা। বিশেষ করে আগুন, চুরি, বন্যা, ঝড়, দুর্ঘটনা, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্ঘটনা থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র রক্ষার চুক্তি সম্পাদিত হয়।