উদ্যোক্তা হতে বাধা!
প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২০, ০৪:২০ অপরাহ্ন | মতামত

আরিফ আহমেদঃ
আমাদের পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় ব্যবসা বিষয়টাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে। সবাই যেন ফিক্সড চিন্তা মানে চাকরির প্রতি ঝুঁকে পরে।
বর্তমান সময়ে কোনো ছেলে মেয়ে যদি নিজে উদ্যোক্তা হয়ে কিছু করার চেষ্টা করে, পরিবার ও সমাজ থেকে সহযোগিতা তো দূরের কথা তাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে।
বর্তমান সময়ে প্রথম শ্রেনী, দ্বিতীয় শ্রেনীর চাকরি নিতে গেলে প্রচুর পড়াশুনা করতে হবে। অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কমপক্ষে তিন চারবছর লাগাতার চাকরির পড়াশুনা করতে হবে।
পড়াশুনা করে চাকরি পাবেন তাও নিশ্চিত নয়, দেশিও চাকরির বাজারে টাকার অংক অনেক ফ্যাক্ট।
পড়াশুনা+টাকা দিয়েও যদি চাকরি হতো তাও একটা কথা ছিল! প্রয়োজন পরে রাজনৈতিক প্রভাব, এর পাশাপাশি মামা খালু'র সুপারিশ।
এর পরেও আমাদের পরিবার ও সমাজের কথা তুমি চাকরিতে যাও। তোমাকে চাকরি করতে হবে! চাকরি ছাড়া কোনো কথা নেই।
চাকরির জন্য তারা দশ বিশ লক্ষ টাকা দিতেও প্রস্তুত কিন্তু উদ্যোগতার জন্য এক পয়সা দিতে অনিচ্ছুক।
কেননা পড়াশুনা করে চাকরি করতে হবে। আর ব্যবসাই যদি করবা তাহলে এতো পড়াশুনার দরকার কি ছিল! এরকম প্রশ্ন প্রায়শই শোনা যায়।
এবার আসি আসল কথায় একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের চাকরির বাজারে টিকে থেকে চাকরি নেয়া কতো কষ্টের ও দূর্বিসহ সেটা সেই ছেলেটাই জানে। মধ্যবিত্ত পরিবারের একটা ছেলে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে আরো কিছু লোকের কর্মস্থানের সুযোগ করে দেয়ার প্রচেষ্টা চালায় তাহলে সমাজ থেকে কতো কটাক্ষ বিদ্রুপ শুনতে হয়।
বিশ পঁচিশ বয়সে নাকি ব্যবসা করা যাবেনা, কারন এই বয়সে নাকি লস করার সম্ভাবনা বেশি! অথচ এই বয়সেই বেশি শ্রম দেয়া যায়।
ব্যবসা করতে হবে বয়স চল্লিশ অতিক্রম হওয়ার পর, ব্যবসা করতেও নাকি একটা অভিজ্ঞতা প্রয়োজন পরে।
তবে সবাই উদ্যোক্তাহবে তা নয়, সবাই ব্যবসা করবে তা নয়। পড়াশুনা করে চাকরি যেমনি করে তেমনি ব্যবসাও করলে ক্ষতি কিসে।
আমরা একটা বিষয় বলে বেড়াই চাকরি হলো নিশ্চিত জীবন আর ব্যবসা নাকি অনিশ্চিত জীবন!
আসলে কি তাই?
লেখকঃ আরিফ আহমেদ, অধ্যায়নরত মাস্টার্স, কারমাইকেল কলেজ, রংপুর।