শেখ হাসিনা ভাঙ্গে কিন্তু মচকায় না

 প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ১১:০৭ অপরাহ্ন   |   মতামত

শেখ হাসিনা ভাঙ্গে কিন্তু মচকায় না


মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ :

করোনা মহামারী এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত।গাড়ীর স্টিয়ারিংয়ে একজন সাহসী শেখ হাসিনা থাকাতে বাংলাদেশ সাময়িক অস্বস্তিতে থাকলেও অর্থনীতির চাকা শ্রীলংকা,পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের মতো থমকে যায়নি বরং প্রবৃদ্ধি বহমান। কথা হলো আপনি কি চান আকাশের তারা,হ্যা আপনি চাইতেই পারেন,কারন যে দেশে বিদ্যুতের পরিবর্তে এক সময় খাম্বা তৈরী হতো,এখন তৈরী হচ্ছে বিদ্যুৎ এবং অকল্পনীয়ভাবে আপনার বাড়িতে বা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌছে গেছে।



একটু পিছনে ফিরি!!


বাংলাদেশে বিদ্যুতের সংযোজন ১৯০১ সালে, ১৯০১ হতে ২০০৮ পর্যন্ত ১০৭ বছরে ক্ষমতার বদল হয়েছে অনেক সরকারের। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমান ছিল ২৪০০  মেঘাওয়াট। এ সময় দেশে মোট বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী ছিল ২২ শতাংশ।


২০০৮ সালের নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর ২০০০০ (বিশ হাজার) মেঘাওয়াট   বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিয়ে এসেছেন।


আজ শহর এবং গ্রামে বিদ্যুতের আলোয় সমানভাবে জ্বলমল করছে।বৈশ্বয়িক উষনতার ফলে মারাত্বক গরম অনুভূত হচ্ছে।বেশী গরম পড়ায় বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়ছে মারাত্বক হারে।ফলে লোডশেডিং,একটু লোডশেডিং হলেই চৌদ্ধগোষ্ঠী উদ্ধার। ক'দিন আগেও যাদের বাড়ি কেরোসিনের আলো জ্বলতো তাদের অকৃতজ্ঞ ফেসবুক বিলাসিতা আর বিলাসিতা।


একবার ভেবে দেখেছেন ২০০৮ সাল হতে দেশের ৭৮ শতাংশ মানুষের বাড়িতে বিদ্যুৎ দিয়েছে এই শেখ হাসিনা।আগে বিদ্যুতের লাইনের জন্য ডিমান্ড নোট জমা দিয়ে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হতো আর এখন চাইলেই বিদ্যুৎ সংযোগ।যাদের বাড়িতে শেখ হাসিনার এই চৌদ্দ বছরে বিদ্যুৎ সংযোগ গিয়েছে সে মানুষগুলোও অকৃতজ্ঞভাবে সমালোচনা করছে।মনে হয় তার জন্ম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দেশে, সে এখন ভাল নেই।


কিছু মানুষ মনে করছে শেখ হাসিনা চাপে পড়েছে,আরে বোকা বার বার মৃত্যুর মুখ হতে ফিরে আসা শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখলেও আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া করেননা।আল্লাহপাক উনাকে সংকটে সহায় থাকেন।


বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে প্রয়োজন কাঁচামাল,কাচাঁমাল আমদানি করতে লাগে বৈদেশিক মুদ্রা,এখন বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার ১:১১৫ যা আগে ছিল ১:৮৩ অর্থাৎ  বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮% তারপরও সরকার বিদ্যুৎ দিয়ে যাচ্ছে। আর পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন চালু করতে ওমান থেকে ৮৫ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৯৫ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করেছে।ফলে দ্রুতই সমস্যা কেটে যাবে।


অনেকে আমেরিকার চাতুর্যের  ভিসানীতিতে বগল বাজাচ্ছেন,যারা মনে করছেন শেখ হাসিনা সংকটে, শেখ হাসিনা সংকটে পড়ে সাময়িক,আল্লাহ উনার সহায় থাকেন।ইতিপূর্বে উনি নিজেকে প্রমান করেছেন, এবারের সংকট কাটাতে পারলে ইনশাল্লাহ ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশের রাস্তা আরও সহজ হবে।


মনে রাখবেন,শেখ হাসিনা ভাঙ্গে,কিন্তু মচকায় না।

 লেখক: মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ

(সাবেক ভিপি,সরকারী মুকসুদপুর কলেজ,গোপালগঞ্জ)