"বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগালে ‘বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব’ অনুষ্ঠিত

 প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন   |   আন্তর্জাতিক

"বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে পর্তুগালে ‘বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব’  অনুষ্ঠিত

গত  রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ‘কাজা দো বাংলাদেশ’র উদ্যোগে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ‘মের্কাদো দে কালতুরাস’ হলে দিনব্যাপী এই আয়োজনে ভিড় করেন কয়েক হাজার প্রবাসী। 

জলের গানের কণ্ঠশিল্পী রাহুল আনন্দ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিল্পী ওয়াহিদ এবং ইতালি প্রবাসী শিল্পী শ্রাবণীর জনপ্রিয় সব গানে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন। পর্তুগালে জমকালো আয়োজনে বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত! পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে জমকালো আয়োজনে বিজয় মেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার 'কাজা দো বাংলাদেশে'র উদ্যোগে শহরের প্রাণকেন্দ্রে 'মের্কাদো দে কালতুরাস ' হলে দিনব্যাপী এই আয়োজনে ভিড় করেন কয়েক হাজার প্রবাসী। জলের গানের কন্ঠশিল্পী রাহুল আনন্দ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিল্পী ওয়াহিদ এবং ইতালি প্রবাসী শিল্পী শ্রাবণী , স্থানীয় শিল্পী শামসুল হক, ও মাইনুল ইসলামের জনপ্রিয় সকল গানে অনুষ্ঠান মাতিয়ে তোলেন।

 আয়োজক সংগঠন কাজা দো বাংলাদেশ এর নেতৃবৃন্দ জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই উৎসবে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে প্রবাসে তুলে ধরা হয়। দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এই বিজয় উৎসবে প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। পর্তুগালে এই বিজয় উৎসবই বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান।

 উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এরপর পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা। সংগঠনের সভাপতি রনি হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শহীদ আহমদ প্রিন্স এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রধান উপদেষ্টা রানা তাসলিম উদ্দীন। পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান গোলাম সরওয়ার; স্থানীয় জুন্তা আরিয়সের প্রেসিডেন্ট জোয়াও জাইমে পিয়েল (João Jaime pires) এবং প্রধান উপদেষ্টা রানা তসলিম উদ্দীন, পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাসের দূতালয় প্রধান গোলাম সরওয়ার,স্থানীয় জুন্তা আরিয়সের প্রেসিডেন্ট জোয়াও জাইমে পিয়েলকে উত্তরীয় পড়িয়ে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন কাজা দো বাংলাদেশের মাসুম আহমেদ, ইকবাল হোসাইন কাঞ্চন, হাফিজ আল আসাদ,শাহীন আহমদ।

বিজয় মেলার অন্যতম আকর্ষণ ছিল সংগীত, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক গান। প্রবাসী শিল্পীদের পরিবেশনায় পুরো অনুষ্ঠানস্থল হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। ফ্রান্সে পড়ি জমানো শিল্পী রাহুল আনন্দ প্রথমবারের মতো ইউরোপে কোনো অনুষ্ঠানে গাইলেন।


পাশাপাশি মেলায় ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, হস্তশিল্প, গ্রামীণ সংস্কৃতির নিদর্শন এবং দেশীয় খাবারের স্টল, যা দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।


উৎসবে অংশগ্রহণকারী প্রবাসীদের মতে, লিসবনে এর আগে কখনো এত বড় পরিসরে বিজয় মেলা ও সংস্কৃতি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়নি। উক্ত বিজয় মেলার লোকাল ব্রডকাস্টিং পার্টনার হিসেবে ছিল নোটিসিয়াস বাংলা।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর: