প্রধানমন্ত্রীর নিজ আসন গোপালগঞ্জ-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন | সফলতার গল্প

শহীদ উল্লা খন্দকার বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব। বর্তমান সরকারের আমলে তিনি সবচেয়ে বেশি সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন।
এবার পেলেন প্রধানমন্ত্রীর নিজ আসন গোপালগঞ্জ-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি।
গতকাল ২৫ অক্টোবর এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
দেশ স্বাধীনের পর গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে একটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। টানা ছয় বছর তিনি মন্ত্রণালয়টিতে দায়িত্ব পালন করেন। তার মধ্যে পাঁচ বছরই চুক্তিভিত্তিক।
২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর চাকরির মেয়াদ শেষে শহীদ উল্লা খন্দকারের অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সরকার তাঁর পিআরএল বাতিল করে। তাঁকে দুই বছরের চুক্তিতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তসচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শহীদ উল্লা খন্দকারের চুক্তির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। ২০২১ সালে তাঁর চুক্তির মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়। সে হিসাবে তাঁর সর্বশেষ চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ২২ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়ার কথা।
তিন দফায় শহীদ উল্লা খন্দকারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মোট মেয়াদ দাঁড়িয়েছে পাঁচ বছর। জনপ্রশাসনে সচিব পদে টানা পাঁচ বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ঘটনা বিরল বলে জানা গেছে।
শহীদ উল্লা খন্দকারের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নারিকেলবাড়ী গ্রামে। তিনি নারিকেলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং বিএম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগ থেকে তিনি স্নাতকোত্তর করেন।
শহীদ উল্লা খন্দকার সহকারী কমিশনার, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট, কগনিজেন্স ম্যাজিস্ট্রেট, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর, রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর ও থানা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরবর্তী সময়ে শহীদ উল্লা খন্দকার উপসচিব, যুগ্ম সচিব ও অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পর্যায়ক্রমে অর্থ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শহীদ উল্লা খন্দকার ২০১৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) যোগ দেন। ২০১৫ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সচিব হন।
২০১৬ সালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে যোগ দেন শহীদ উল্লা খন্দকার। একই বছর তিনি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগ দেন। তার পর থেকে তিনি এখন পর্যন্ত একই মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।