ডিজিটাল এখন বাস্তব, স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশের

 প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:১৯ অপরাহ্ন   |   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ডিজিটাল এখন বাস্তব, স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশের

ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্বপ্ন নয় বাস্তব। দেশের সবকিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। জনগণ হাতের নাগালে সব সেবা পাচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে 'প্রগতিশীল প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নতি' এ প্রতিপাদ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান এ কথা বলেন।


তিনি বলেন, ডিজিটাল দিবস খুবই  গুরুত্বপূর্ণ। সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কার্যক্রম শুরু করেছিল তখন কেউই এ বিষয়ে জানতাম না। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে সবাই তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে জানছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দক্ষ জনসম্পদ তৈরি করে জনগণের মধ্যে সেবা পৌঁছে হচ্ছে।  


তিনি আরও বলেন, দেশকে উন্নত করতে হলে কীভাবে তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগানো যায় সেগুলো ছিল লক্ষ্য। এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্তমানে নতুন স্লোগান স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। ২০৪১ সালের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এর কথা মাথায় রেখে ডিজিটাল সেবা কীভাবে আরও উন্নত করা যায় তা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে এসব সেবা আধুনিকায়নের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। যার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের এসব সেবা আরও বেশি আধুনিক হবে, সেবার মান বাড়বে।  


জেলা প্রশাসক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের ফলে বর্তমানে জনগণ ঘরে বসে সেবা পাচ্ছে। ইউনিয়ন ভিত্তিক সেবা কার্যক্রমের পাশাপাশি ঘরে বসেই জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। যেকোন চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে স্কুল কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা সবকিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। মহামারি করোনাকালীন সারাদেশের সব মানুষকে সুরক্ষা অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে স্কুল থেকেই ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও ফ্রিল্যান্সাররা কাজ শিখে ঘরে বসেই বিদেশি মুদ্রা অর্জন করছে। তারা দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং কার্যক্রম, সরকারি সব দপ্তরের কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে করা হচ্ছে। যা মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজ করেছে।


সভায় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নিন্ম মাধ্যমিক পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিনজন এবং উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তিনজনকে পুরস্কার দেওয়া  হয়। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর হতে ফ্রিল্যান্সিং এ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ২৫ জনকে সনদ বিতরণ দেওয়া হয়।  


অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাহমিদা হকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থোয়াই অংপ্রু মারমা।


সবায় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দপ্তরের দপ্তর প্রধান, ফ্রিল্যান্সার, বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।



বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর: