জাবি ছাত্রলীগের ৫ কর্মী বহিষ্কার

 প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৩, ০২:৫২ অপরাহ্ন   |   শিক্ষা

জাবি ছাত্রলীগের ৫ কর্মী বহিষ্কার


মাহমুদুল হাসান (জাবি প্রতিনিধি) :


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের মধ্যকার চলমান বিবাদের জের ধরে সাইফুল ইসলাম বাদল নামে এক শিক্ষার্থীকে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে৷ এ ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ড৷



বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক  আলোচনা সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের সভাস্থল ত্যাগ করার পরে এ ঘটনা ঘটে। আহত বাদল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী৷



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আলোচনা সভা শেষে বের হওয়ার সময় রড ও লোহার পাইপ নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মীর মশাররফ হলের একদল উচ্ছৃঙ্খল ছাত্রলীগ কর্মী৷ এসময় লোহার পাইপ দিয়ে মাথায় আঘাত করলে বাদলের মাথার পেছনের অংশ ফেটে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। ঘটনাস্থলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের নেতাকর্মীরা ছুটে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতেই লিখিত অভিযোগ জমা দেন ভুক্তভোগী৷



এ ঘটনায় রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সভায় জড়িতদের সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন৷ বহিষ্কৃতরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল হাসান অমি (আইন ও বিচার), সহসম্পাদক আহমেদ গালিব (বাংলা ৪৭), সহসম্পাদক মো. কাইয়ুম হাসান (দর্শন ৪৭), কার্যকরী সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম (দর্শন- ৪৭), কর্মী তানভীরুল ইসলাম (প্রাণিবিদ্যা-৪৭)। এরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। পাশাপাশি আবাসিক হলে তাদের অবস্থান নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷



এদিকে, গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সঙ্গে অসদাচরণ এবং সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৯ নম্বর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেকের নেতৃত্বে কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন আলবেরুনী হলের প্রভোস্ট সিকদার মোহাম্মদ জুলকারনাইন, শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শাহেদ রানা, জাহানারা ইমাম হলের প্রভোস্ট মোরশেদা বেগম এবং সদস্যসচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার মাহতাব উজ জাহিদ। কমিটিকে গত ১৯ তারিখ থেকে চলমান সব ঘটনার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ১০ কার্যদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে৷



এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল হাসান বলেন, 'এহেন সন্ত্রাসী এবং দুষ্টচক্র নিয়ে ছাত্র-রাজনীতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না৷ অভিযুক্ত সবাইকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে।'



প্রসঙ্গত, চলমান সহিংসতার ঘটনায় উপ-আইন সম্পাদক ইমরুল হাসান অমি, সহ-সম্পাদক আহমেদ গালিব ও সদস্য আহসানুল হাবীব রেজাকে শৃঙখলা ভঙ্গের দায়ে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ৷


শিক্ষা এর আরও খবর: