নোবিপ্রবির মালেক হলে পোকা ও গন্ধযুক্ত খাবারঃ কেন্টিন বন্ধ ঘোষণা

 প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন   |   শিক্ষা

নোবিপ্রবির মালেক হলে পোকা ও গন্ধযুক্ত খাবারঃ কেন্টিন বন্ধ ঘোষণা

আবদুল্লাহ আল নোমান (নোবিপ্রবি) : 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সাবেক স্পীকার আব্দুল মালেক আবাসিক হলে খাবারের প্লেটের মধ্যে পোকা ও ডিম থেকে গন্ধ বের হওয়ার অভিযোগে হল কেন্টিন বন্ধ ঘোষণা করেছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।


শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে খাবার খেতে গেলে খাবারে পোকা ও গন্ধযুক্ত খাবার পাওয়া যায় বলে অভিযোগ আবাসিক শিক্ষার্থীদের। তারা জানান, হলের খাবারের দাম অধিক হলেও মান খুবই খারাপ। শুরুতে এক শিক্ষার্থী প্লেটে পোকা দেখে পাশের অন্য শিক্ষার্থীদের জানায়।  এসময় ডিম তরকারি থেকেও গন্ধ বের হচ্ছে বলে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন।


পরবর্তীতে উপস্থিত অন্য শিক্ষার্থীরা পোকা ও বাসি খাবার দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে কেন্টিন বন্ধ করে দেয় যাতে এসব খাবার খেয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে না হয়। ঘটনা তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ও খাবারের মান বৃদ্ধির দাবীতে হল প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে উপস্থিত আবাসিক শিক্ষার্থীরা।


এ বিষয়ে মালেক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী, আল আমিন বেপারি বলেন,“ আজকে দুপুরে আমি মালেক উকিল হলের ডাইনিংয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ার সময় প্রায় অর্ধেক খাবার খাওয়ার পর খাবারের প্লেটের মধ্যে টয়লেটের পোকার উপস্থিতি পাই এবং ডিম তরকারি থেকে বাজে গন্ধ পাই। এ ঘটনার পর ডাইনিংয়ের ম্যানেজারকে অবগত করলে সে বলেছে খাবারের মধ্যে দু-একটা পোকা থাকতেই পারে এবং এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়।এরমধ্যেই  ডাইনিংয়ে উপস্থিত আরেক শিক্ষার্থী ডালের মধ্যে মাছি ও পোকা পায়।”


তানজীদ আরেফিন বাপ্পী বলেন, " ছাত্রদের দুই হলের মধ্যে শুধু মালেক হলে ডাইনিং চালু আছে। ফলে শিক্ষার্থীদের চাপ সবসময় এই হলের ডাইনিং এ দেখা যায়। অতিরিক্ত টাকা দিয়ে রীতিমতো বাসী এবং পোকামাকড় যুক্ত খাবার সরবরাহ করে ডাইনিং কর্তৃপক্ষ। বারবার বলা হলেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করে। "


এ বিষয়ে ডাইনিং ম্যানেজার মোঃ ইয়াসিন মিয়া বলেন, “আমরা চেষ্টা করি আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের মান সর্বোচ্চ রাখার জন্য। কিন্তু কর্মচারীদের কিছু ভূল-ত্রুটির জন্য কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। 

মালেক হলের দায়িত্বে দায়িত্বে থাকা ট্যূরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জামশেদুল ইসলাম বলেন,“ আসলেই যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে আমরা রাতের মধ্যে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।”


উল্লেখ,আবাসিক শিক্ষার্থীদের দাবী, হলের খাবারের মান ও দাম নিয়ে বারবার কথা উঠলে বিষয়টি সমাধান মিলছেই না। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে এসে এসব খাবার খেয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে। খাবারের দাম কমাতে এবং মান বাড়াতে দ্রুত হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চান আবাসিক শিক্ষার্থীরা।



শিক্ষা এর আরও খবর: