হাত পা বেঁধে ৫ জনকে ফেনী নদীতে ফেলে দিয়েছে বিএসএফ

 প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ১১:২১ পূর্বাহ্ন   |   জেলার খবর

হাত পা বেঁধে ৫ জনকে ফেনী নদীতে ফেলে দিয়েছে বিএসএফ



মোঃ শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া আসাদ (খাগড়াছড়ি ) :  ১৬ দিনের ব্যবধানে আবারো খাগড়াছড়ি রামগড় সীমান্ত দিয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে নারী ও শিশুসহ ৫ জনকে বাংলাদেশ পুশ ইন  করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ভারতের হরিয়ানা থেকে ধরে এনে হাত পা বেঁধে এদের  ত্রিপুরা সীমান্তের ফেনী নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে রামগড়ের সীমান্তবর্তী ফেনীর সোনাইপুল এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর তাদের প্রশাসনের হেফজতে নেওয়া হয়েছে।  উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উমেদ আলী (৪২), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫), তিন কন্যা সন্তান সুমাইয়া (৮), রুম্পা (১২) ও রুমি (১৫)।

রাতভর নদীর পানিতে ভেসে ভোরে ফেনী নদী সংলগ্ন বাংলাদেশ সীমান্তে পৌঁছান বলে ভাষ্য ভুক্তভোগীদের।রামগড় সীমান্তবর্তী ফেনীর কূল গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ রানা বলেন, সকাল ৬টার দিকে ভেজা কাপড়ে নারী ও শিশুসহ ওই পাঁচজনকে দেখতে পেয়ে বিজিবিকে খবর দেওয়া হয়। পরে মহামুনি বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা এসে তাদের আটক করে।

ভুক্তভোগী উমেদ আলী বলেন, আমরা হরিয়ানায় শ্রমিকের কাজ করতাম। রাতে ভারতীয় সিআইডির লোকজন গিয়ে বাড়ী থেকে আমাদের ধরে এনে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ আমাদের হাত পা বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়। বাংলাদেশের তীরে পৌঁছানোর পর গ্রামবাসী আমাদের উদ্ধার করে। এ সময় সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা পয়সা, কাগজপত্র  সবকিছুই কেড়ে নিয়েছে বিএসএফ।

রামগড় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসমত জাহান তুহিন বলেন, মানবিক কারণে তাদের পাঁচজনকে রামগড় হাই স্কুলে বিজিবি ও পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা বাংলদেশি বলে দাবি করছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ৬ মে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৮১ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করে ভারতীয় বিএসএফ।


জেলার খবর এর আরও খবর: