রাজকীয় সউদি সরকারের সাথে হজচুক্তি সম্পাদিত
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারী ২০২৪, ০৯:৩৩ অপরাহ্ন | ধর্ম

রাজকীয় সউদি সরকারের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি ২০২৪ সম্পাদিত হয় অদ্য ৮ জানুয়ারী সউদি আরবের জেদ্দায় স্হানীয় সময় সকাল ১১টায়। সউদি আরবের পক্ষে উপস্হিত ছিলেন সউদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত ও অন্যান্য কর্মকর্তাগন এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব জনাব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার, হাব সভাপতি এম.শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ধর্মমন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) জনাব মতিউল ইসলাম, পরিচালক (হজ অফিস) জনাব সাইফুল ইসলাম, কাউন্সেলর (হজ) জেদ্দা জনাব জহিরুল ইসলাম, কনসাল(হজ) জেদ্দা জনাব আসলাম উদ্দিন উপস্হিত ছিলেন।
বৈঠকে সুষ্ঠু ও সুশৃংখল হজ ব্যবস্হাপনার স্বার্থে ও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। হজ এজেন্সীর সংখ্যা না কমিয়ে অন্যান্য বছরের ন্যায় সকল এজেন্সীকে রেখে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সউদি উপমন্ত্রীকে জোরালো অনুরোধ করেন হাব সভাপতি। এজেন্সীর সংখ্যা না কমিয়ে পূর্বের মত রাখা হলে হজযাত্রীদের সেবা প্রদানে সুবিধা হবে এবং বাংলাদেশী বয়োবৃদ্ধসহ সকল হজযাত্রীর কল্যানের কথা চিন্তা করে হজ এজেন্সীর সংখ্যা না কমানোর পক্ষে বিস্তারিত যুক্তি তুলে ধরে সউদি উপমন্ত্রীকে বিষয়টি পূনর্বিবেচনার জন্য হাব সভাপতি অনুরোধ করলে সউদি উপমন্ত্রী ধৈর্য্য সহকারে তা শ্রবন করেন ও বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন। তাছাড়া হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহন ও ব্যবস্হাপনার উন্নয়ন, মিনা আরাফায় তাঁবু ব্যবস্হাপনার উন্নয়ন ও হজের ১০দিন আগে এজেন্সীকে তাবু বুঝিয়ে দেয়ার ব্যাপারে হাব সভাপতি অনুরোধ করেন। সভায় ধর্মসচিব মু: আ: হামিদ জমাদ্দার হজ ব্যবস্হাপনার বিভিন্ন বিষয় এবং হজযাত্রীদের সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সভাশেষে দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী এবছর ১ লক্ষ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশী হজপালনের সুযোগ পাবেন।