বাংলাদেশ ও ভারত এলওসি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছে

 প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন   |   অর্থ ও বাণিজ্য

বাংলাদেশ ও ভারত এলওসি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে আলোচনা করেছে


ভারতীয় লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সহজীকরণের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত আলোচনা করেছে।

গতকাল রাজধানীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) অনুষ্ঠিত ভারতীয় এলওসির অধীনে প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করার জন্য উচ্চ-পর্যায়ের প্রকল্প পর্যবেক্ষণ কমিটির তৃতীয় বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

ইআরডি সচিব শরিফা খান এবং বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার যৌথ সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এমইএ) বিশেষ সচিব (ইআর এবং ডিপিএ) প্রভাত কুমার।

এলওসি অংশীদারিত্বের অধীনে ভারত মোট ৭.৩৬২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল। আজ অবধি, প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যার মধ্যে প্রায় ১.৩৪৪ বিলিয়ন ডলার ইতিমধ্যে দেয়া করা হয়েছে। আজ ইআরডি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।

এমনকি, কোভিড ১৯ মহামারী চলাকালে, অন্যান্য উন্নয়ন অংশীদারদের অর্থ ছাড়ের তুলনায় এলওসি প্রকল্পগুলোর বিপরীতে অর্থ প্রদানের হার বেশি ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভারতীয় এলওসি চুক্তির অধীনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ অবদানের কথা তুলে ধরে ইআরডি সচিব বলেন,  ভারত বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী।

এলওসি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে উন্নয়ন সহযোগিতা নতুন গতি পেয়েছে।

শরিফা বলেন, এলওসি প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন আগামী দিনে এই উন্নয়ন বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করবে।

ভারতের হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, দুটি দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ও মঙ্গল পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সাথে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছে।

তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্মিলিত আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে যে গভীর বন্ধুত্বের জন্ম হয়েছিল এটি তার একটি উজ্জ্বলতম বহিঃপ্রকাশ।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইআরডি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অর্থ বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং ভারতের পক্ষ থেকে এইচসিআই, এমইএ, এবং এক্সিম ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কর্মকর্তারা বৈঠকে যোগ দেন।


অর্থ ও বাণিজ্য এর আরও খবর: