দেশের আট বিভাগীয় শহরে ফাইভজি ট্রায়াল শুরু করেছে গ্রামীণফোন

 প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:৫২ অপরাহ্ন   |   বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

দেশের আট বিভাগীয় শহরে ফাইভজি ট্রায়াল শুরু করেছে গ্রামীণফোন

‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ -এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত  ২৬ জুলাই ঢাকা ও চট্টগ্রামে সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি  পার্টনার গ্রামীণফোন। এর ধারাবাহিকতায়, প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য  বাস্তবায়নে নিজেদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে দেশের টেক সার্ভিস লিডার এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের আটটি বিভাগীয়  শহরে গ্রাহকদের ফাইভজি ট্রায়াল শুরু করেছে।  

এ উদ্দেশ্যে গতকাল রাজধানীর জিপি হাউজে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়, যেখানে আমন্ত্রিত অতিথি ও মিডিয়া  স্টেকহোল্ডাররা গ্রামীণফোনের ইনোভেশন ল্যাবে ফাইভজি সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ পান। তারা  এআর ভিডিও, ভিআর গেমিং, রোবটিক আর্মস, এআর সেলফি ও ক্লাউড গেমিং সহ প্রযুক্তিগত নানা অভিজ্ঞতা  লাভ করেন।  


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। আরও উপস্থিত  ছিলেন বিটিআরসি’র ইই্যান্ডও বিভাগের কমিশনার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাবেগর  কমিশনার সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেক্ট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মাদ  মনিরুজ্জামান জুয়েল, পিএসসি, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: নাসিম পারভেজ এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি,  মহাপরিচালক সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগ, আশীষ কুমার কুুন্ডু, গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান,  প্রতিষ্ঠানটির চীফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব, চীফ ডিজিটাল অফিসার সোলায়মান আলম, চীফ টিকনোলজি  অফিসার জয় প্রকাশ, চীফ কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হেনরিক্সন সহ গ্রামীণফোন সহ উইপ্রো,  হুয়াওয়েই, জেডটিই পার্টনারদের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাগণ। গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান অনুষ্ঠানে  ৫জি বিষয়ে কিনোট উপস্থাপন করেন।

এর আগে, গত ২৬ জুলাই গ্রামীণফোন দেশে প্রথমবারের মতো ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইউজ কেস সহ ফাইভজি ট্রায়াল  পরিচালনা করে। এর ধারাবাহিকতায়, টেক সার্ভিস লিডার এ প্রতিষ্ঠানটি দেশের আট বিভাগে গ্রাহকদের ফাইভজি  সেবা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণের সুযোগ করে দিচ্ছে।  

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, “দেশজুড়ে ধারাবাহিকভাবে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোন  ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতেই প্রমাণিত হয়, আমাদের দেশ ডিজিটাল রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।  আমরা জানি সেবা প্রদানে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে যেখানে আমরা সবাই কাজ করছি। কিন্ত বিষয়টা এমন নয় নতুন  প্রযুক্তিকে স্বাগত জানানো যাবে না। আমাদের বিশ্বের সাথে তাল মিলেয়ে প্রযুক্তি সুবিধা নিতে হলে সকল প্রযুক্তি  মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সম্ভাবনা উন্মোচনে আমাদের ফাইভজি’র মতো উন্নত প্রযুক্তি  প্রয়োজন। ফাইভজি অভিজ্ঞতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ দিতে চাই, যার ফলে  মানুষ যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার বিষয়ে জানতে পারবেন।”

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান তার মূল বক্তব্যে বলেন, “প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে  সমাজের ক্ষমতায়ন ও সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে গ্রামীণফোন। আসন্ন চতুর্থ শিল্প  বিপ্লবের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে চলমান ডিজিটালাইজেশন ত্বরাণ্বিত করার মাধ্যমে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ এর লক্ষ্য  অর্জনের দায়িত্ব আমাদের সবার। টুজি, থ্রিজি ও ফোরজি থেকে এখন ফাইভজি কানেক্টিভিটি যুগেও উচ্চগতির

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এর আরও খবর: