দীপ্তিময় দিবালোকের মানুষ মির্জা আজম : ৬১তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা

 প্রকাশ: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১০:৩১ অপরাহ্ন   |   জন্মদিন

দীপ্তিময় দিবালোকের মানুষ  মির্জা আজম :  ৬১তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা

ড. সৈয়দ নাজমুল হুদা:



জনগণের কথা ভাবেন। তাদের কথা বলেন। দিনরাত ব্যস্ত থাকেন রাজনীতি নিয়ে। এলাকার মানুষের সুখ-দুঃখের কথা ভাবেন। তাদের পাশে থাকেন। তাকে নিয়েই জামালপুর জেলাবাসীর স্বপ্নপূরণ। উন্নয়নের আইকন। শুধু উন্নয়ন নয়, জামালপুরের মানুষের কাছে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন শিক্ষাবন্ধু হিসেবেও।শিক্ষাবিস্তারে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জামালপুরের মানুষ ‘শিক্ষাবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেছে।
পিছিয়ে থাকা যে কোনো জনপদকে উন্নয়নের ধারায় নিতে হলে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। এই বিশ্বাস থেকেই মির্জা আজম যোগাযোগ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা জামালপুর জেলার মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষা বিস্তারে হাত দেন। ১৯৯১ সালে তিনি প্রথম এমপি নির্বাচিত হন। ছিলেন বিরোধী দলে। বর্তমানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ।এছাড়া ঢাকা বিভাগীয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক।  এ পর্যন্ত গড়ে তুলেছেন প্রায় অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নেও ভূমিকা রেখেছেন সরাসরি। সর্বশেষ জামালপুরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হয়েছে তার হাত ধরে। তার চেষ্টায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ইউনিভার্সিটি ।
মির্জা আজম পারিবারিকভাবেই পেয়েছিলেন শিক্ষা নিয়ে কাজ করার প্রেরণা। যমুনা তীরের উপজেলা মাদারগঞ্জের মূল সমস্যা হলো নদীভাঙন। এই উপজেলায় বিশেষ করে দুর্গম চরাঞ্চলের মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণের জন্য কোনো মহিলা কলেজ ছিল না সুদীর্ঘকাল থেকে। ফলে এই অঞ্চলে নারী শিক্ষার হার ছিল একেবারেই কম। যার কারণে শিক্ষাবঞ্চিত নারীরা শিকার হতো বাল্যবিয়েসহ নানা সামাজিক বৈষম্যের। এই উপলব্ধি থেকে এই অঞ্চলে নারী শিক্ষার জাগরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়তে এগিয়ে আসেন মির্জা আজমের পিতা আলহাজ মির্জা আবুল কাশেম। তিনি নিজের জমি ও নগদ অর্থে গড়ে তুলেন নূরুন্নাহার মির্জা কাশেম মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দুই যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি পাল্টে দিয়েছে এখানকার নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের চিত্র। আলহাজ মির্জা আবুল কাশেমকে এলাকাবাসী এই অঞ্চলের নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে জানেন। এই কলেজের শিক্ষার্থী শারমীন নাহার, আইরিন ও ছানোয়ারা বলেন, এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা না হলে আমাদের জন্য লেখাপড়া করা কঠিন হয়ে উঠত।
বাবার মতো মির্জা আজম এমপি তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে শিক্ষা বিস্তারকে নেন ব্রত হিসেবে। তার নির্বাচনী এলাকা মেলান্দহ ও মাদারগঞ্জ উপজেলায় একে একে গড়ে তুলেন স্কুুল, কলেজ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদারগঞ্জের নয়াপাড়ায় খাজা শাহ্সুফি ইউনুছ আলী কলেজ, গুনেরবাড়ি মির্জা আজম কলেজ, মেলান্দহের দুরমুঠ আলেয়া আজম কলেজ, ঘোষেরপাড়া শেখ কামাল কলেজ, ঝাউগড়া বঙ্গবন্ধু কলেজ, ফজর উদ্দিন মির্জা কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়, শেখ রাসেল উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জা আজম উচ্চ বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, ঘুঘুমারী মির্জা এ কাশেম উচ্চ বিদ্যালয়, কলাদহ মির্জা গোলাম মোস্তফা উচ্চ বিদ্যালয়, মোসলেমাবাদ নূরুন্নাহার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জা রওশন আলী উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জা কবির টেকনিক্যাল কলেজ, মেলান্দহ শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ফিশারিজ কলেজসহ প্রায় অর্ধ শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন মির্জা আজম। তার গড়ে তোলা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই অঞ্চলে ছড়িয়ে দিচ্ছে শিক্ষার আলো।
শিক্ষাব্রতী আলহাজ্ব মির্জা আজম এর নামে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্র হলটির নামকরণ করা হয়েছে। তাঁকে সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে হলটির 'মির্জা আজম হল' নামকরণ করা হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি শুভ উদ্যােগ খুবই প্রশংসনীয়।

শিক্ষাবন্ধু ও দীপ্তিময় দিবালোকের মানুষ আলহাজ্ব  মির্জা আজম এম. পি এর ৬১তম জন্মদিনে  জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ।


(ড. সৈয়দ নাজমুল হুদা, সহকারী অধ্যাপক ও হাউস টিউটর, মির্জা আজম হল। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর ।)