ঝালকাঠির গাবখান সেতুতে ৬২টি সড়ক বাতির ৪৩ টিই অকেজো, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

 প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন   |   সারাদেশ

ঝালকাঠির গাবখান সেতুতে ৬২টি সড়ক বাতির ৪৩ টিই অকেজো, দুর্ঘটনার আশঙ্কা


মোঃ রাজু খান (ঝালকাঠি) : বাংলার সুয়েজ খাল খ্যাত ঝালকাঠির গাবখান নদীর ওপর নির্মিত হয় পঞ্চম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু। বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের এ সেতুর ওপর দুর্ঘটনা এড়াতে এবং চলাচলকারীদের সুবিধার্থে ৬২টি লাইট পোস্ট স্থাপন করা হয়। বর্তমানে লাইটপোস্টের ৪৩টিই অকেজো হয়ে পড়েছে। সচল রয়েছে মাত্র ১৯টি। তারমধ্যেও কয়েকটি নিভু নিভু জ্বলে। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতি হলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সেতুটির দৈর্ঘ্য ৯১৮ মিটার, দীর্ঘতম স্প্যান রয়েছে ১১৬ দশমিক ২০ মিটার (যা দেশের সর্বোচ্চ), নিম্নতম স্প্যান রয়েছে ৩০ মিটার। ২৪টি পিলার ও দুটি অ্যাবাটমেন্ট রয়েছে। ক্যারেজওয়ে রয়েছে ৭ দশমিক ৫০ মিটার। প্রতি পার্শ্বে সাইড ওয়াক রয়েছে ১ দশমিক ২৫ মিটার। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স রয়েছে ১৮ মিটার। ৮১ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু নির্মাণের ভিত্তিফলক উন্মোচন করে নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। ২০০২ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেতুর উদ্বোধন করেন।

নিয়মিত চলাচলকারী ও স্থানীয়রা জানান, সেতু উদ্বোধনের ২২ বছর অতিবাহিত হতেই বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। সন্ধ্যা হলেই সেতুর ওপর নেমে আসে অন্ধকার। এ কারণে প্রায় সময়ই ছোটোখাটো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

গাড়ি চালক মোহাম্মদ হোসেন গাজী জানান, আমাদের গাড়ির হেডলাইটের মাধ্যমে অন্যান্য সড়কের মতো পথ দেখে চলতে হয়। সড়কের বাতি না থাকায় বাঁকে বাঁকে চলার সময় ঝুকিতে থাকতে হচ্ছে।
অটো চালক মামুন হাওলাদার জানান, গাবখান ব্রিজের উপরের বাতিগুলো নস্ট হয়ে যাওয়ায় অন্ধকার থাকে বেশিরভাগ জায়গাই। ব্রিজ পারাপারের সময় সামনে থেকে পরিবহন বা ট্রাক আসলে তখন কিছু চোখে দেখা যায় না। অনেক সময় পাশে মটোর সাইকেল থামিয়ে বাতাসে বসেন বাইকাররা। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
মটোর সাইকেল চালক মিজানুর রহমান জানান, ব্রীজে উঠলেই দেখা যায় বাতিগুলো জ্বলে না। সামনে থেকে বড় কোন গাড়ি এলে তখন আর চোখে কিছু দেখা যায় না। মাথায় হেলমেট থাকলে সবকিছু তখন ধোয়া দেখা যায়। পাশে মটোর সাইকেল রেখে অনেকেই বাতাস উপভোগ করেন। সড়ক বাতি না থাকলে অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটে। নতুন চালক হলে তো দুর্ঘটনা থেকে রেহাই নাই। তাছাড়া রাতে অনেকে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ নেন এব্রীজে। তখন দুর্ঘটনার আশঙ্কা খুবই বেশি থাকে। অনেকদিন যাবত এমন অবস্থা রয়েছে। কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি না পড়লে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার শরীফ খান জানান, সেতুর বাতিগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। বাতি পুনঃস্থাপনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



সারাদেশ এর আরও খবর: